সত্যের জয় হয়েছে, বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন টাঙ্গাইল শহর জামায়াত নেতা মো.শাহিন মিয়া

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ হালিম মিয়া

এলাকা: টাঙ্গাইল

 

‘রাজনৈতিক, উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা মামলায় আদালত আজ আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে।’– এমনটাই মন্তব্য করেছেন টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর জামায়াত নেতা মোহাম্মদ শাহিন মিয়া।তিনি টাঙ্গাইল সদর থানার দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।

গত মঙ্গলবার(০৬ মে ২৫) ২০২০ সালে দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ছিল। এই দিনে আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান না থাকায় জামায়াত নেতা মো শাহিন মিয়াসহ বিএনপি জামায়াতের ৬৪ জন নেতাকর্মীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত টাঙ্গাইল । আসামিপক্ষের আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে বেকসুর খালাস পাওয়া নেত্ববৃন্দগণ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘২০২০ সালে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার হাসিনার আমলে আমাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন এই মিথ্যা মামলার গ্লানি বয়ে বেড়িয়েছি। জেলে বন্দী থেকেছি, বাড়িঘরে থাকতে পারিনি। আজ আদালত আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এটি রাজনৈতিক, উদ্দেশ্যমূলক এবং ভিত্তিহীন একটি মামলা ছিল। আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সত্যের জয় হয়েছে।

জামায়াত নেতা মো.শাহিন মিয়া বলেন, ‘গেল ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ গায়েবি, মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছে। এসব মামলা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হলে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন
প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: সিলেট


ইউকে প্রবাসী কমিউনিটির অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাংবাদিক ও সমাজসেবক, ডেইলি সানরাইজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব আহমদ আলী সাহেবের সাথে সম্প্রতি এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশন-এর সম্মানিত সভাপতি জনাব লাভলু মিয়া সুজন।

সাক্ষাৎকালে উভয়েই সাংবাদিকতা জগতের বর্তমান পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা, প্রবাসী সমাজের ভূমিকা, এবং মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জনাব আহমদ আলী তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিকতা ও সামাজিক অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করেন এবং বলেন, “আজকের সাংবাদিকদের উচিত কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, বরং সমাজের সঠিক প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করে জনসচেতনতা বাড়ানো।”

তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্র কেবল একটি তথ্যভিত্তিক মাধ্যম নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। প্রবাসী সাংবাদিকদেরও এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা প্রয়োজন।”
জনাব লাভলু মিয়া সুজন এ সময় ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য গৃহীত নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, “আমাদের সংগঠন শুধু সাংবাদিকদের সমস্যা চিহ্নিত করছে না, বরং সেগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছে।”

দুজনেই ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও কাজের আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎ শেষে উভয়ের মধ্যে সৌজন্যমূলক উপহার বিনিময় হয় এবং স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করা হয়।

এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতা, প্রবাসী কমিউনিটি এবং সমাজসেবার ক্ষেত্রে একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে।

সিলেটের সাপ্লাইয়ে দুই সম্পাদকের সাক্ষাৎ